এবার পরনে চুড়িদার, কপালে টিপ, ঠোঁটে লিপস্টিক, হাতে চুড়ি। প্রেমিকা যেন পরীক্ষায় পাস করতে পারেন, তাই নিজেই মেয়ে সেজে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন এক তরুণ। যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েই পরীক্ষার হলে গিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু শেষমেষ ধরা পড়লেন তিনি। গার্লফ্রেন্ডের ছদ্মবেশ নিয়ে কর্মকর্তাদের বোকা বানানোর চেষ্টা কার্যত হাস্যকর দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের ফরিদকোটে। আজ সোমবার ১৫ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের ফরিদকোটের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে এক যুবক তার গার্লফ্রেন্ডের ছদ্মবেশ নিয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। তবে ধরা পড়ার পর তার সেই চেষ্টা কার্যত হাস্যকর দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। অভিযুক্ত ওই প্রেমিকের নাম আংরেজ সিং। তিনি তার প্রেমিকা পরমজিৎ কৌরের ছদ্মবেশ নিয়ে পরীক্ষার হলে গিয়েছিলেন।
এনডিটিভি বলছে, প্রেমিকা যেন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন, তাই লাল চুড়ি, টিপ, লিপস্টিক এবং মেয়েদের স্যুট পরে আংরেজ সিং পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। আইডি কার্ড-সহ যাবতীয় নথি জোগাড় করে রেখেছিলেন আগে থেকেই।
কিন্তু পরীক্ষা দেওয়ার আগে বায়োমেট্রিক যন্ত্রে ওই ব্যক্তির আঙুলের ছাপ আসল পরীক্ষার্থীর আঙুলের ছাপের সঙ্গে মেলেনি। আর এতেই ধরা পড়েন সেই তরুণ। পরে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে আংরেজকে গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশ।
এদিকে সংবাদমাধ্যম বলছে, গত ৭ জানুয়ারি ফরিদকোট জেলার কোটকাপুরার ডিএভি পাবলিক স্কুলে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের পরীক্ষা চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে। পরীক্ষার আগে মেয়েদের বেশে ছবি তুলে পরমজিতের নামে নকল পরিচয়পত্র তৈরি করিয়ে নেন আংরেজ।
এছাড়া পরমজিৎ যেন ভালো নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেন, তাই নিজেই পরীক্ষা দিতে যান আংরেজ। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে বায়োমেট্রিক যন্ত্রে ধরা পড়ে যান আংরেজ। সঙ্গে সঙ্গে পরমজিতের ফর্মও বাতিল করে দেওয়া হয়। এ বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।